প্রায় প্রতিদিনই আপনার ঘনঘন কোমড় ব্যাথা হচ্ছে, সাথে হালকা হালকা জ্বর ও আছে শরীরে। সিজনাল জ্বর এবং নরমাল কোমড় ব্যাথা ভেবে দেরি করে ফেলছেন না তো?
আপনি কি জানেন এগুলো হতে পারে কিডনীতে পাথর হবার লক্ষণ?
কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ
**পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া**: পানি কম পান করলে মূত্র ঘন হয়ে যায়, যা খনিজ সঞ্চয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।
**অতিরিক্ত লবণ ও প্রোটিন গ্রহণ**: খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ বা প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
*জিনগত কারণ**: পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
**ক্যালসিয়াম বা অক্সালেটের মাত্রা বেশি থাকা**: বিশেষ কিছু খাদ্য যেমন পালং শাক, বিট, চকোলেট—এগুলো বেশি পরিমাণে খেলে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
**স্বাস্থ্য সমস্যা**:
– **মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI)**
– **মেটাবলিক সমস্যা**
– **প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা**
**ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া**: কিছু ওষুধের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
– পিঠ বা কোমরে তীব্র ব্যথা।
– প্রস্রাবে রক্ত আসা।
– প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া।
– বমি বা বমি বমি ভাব।
– জ্বর এবং ঠান্ডা লাগা (সংক্রমণের ক্ষেত্রে)।
– প্রস্রাব আটকে যাওয়া বা কমে যাওয়া।
আমাদের Kidney Health Foundation এ পাচ্ছেন স্বল্প মূল্যে সুচিকিৎসা। তাই আর দেরি না করে স্বাস্থ্য সচেতন হোন।
পাথর প্রতিরোধে করণীয়
1. প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা।
2. লবণ, চিনি এবং প্রাণীজ প্রোটিনের পরিমাণ কমানো।
3. ক্যালসিয়াম এবং অক্সালেটযুক্ত খাবার (পালং শাক, চকোলেট, বাদাম) পরিমিত মাত্রায় খাওয়া।
4. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
5. প্রস্রাব আটকে না রাখা।
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন এবং খাবার ও জীবনযাপনে সচেতন হন। সমস্যা অনুভব করলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।